প্রকাশকালঃ 2025-10-04 14:15:20

অনলাইন ডেস্ক:-
অনেকের বয়স ও উচ্চতা বাড়লেও ওজন বাড়ে না। এতে কেউ কেউ বিব্রতবোধ করেন, শুনতে হয় নানা কটুক্তিও। কম ওজনের কারণে শরীর দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে, মনেও আসে হতাশা বা হীনমন্যতা। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই—প্রথমেই জানতে হবে কেন ওজন বাড়ছে না।
অনেক সময় থাইরয়েডের সমস্যা, বিশেষ করে হাইপারথাইরয়েডিজম, ডায়াবেটিস, বা হজমের সমস্যা থাকলে ওজন বাড়তে বাধা পায়। এসব সমস্যা না থাকলে খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনলেই সম্ভব স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ানো। প্রতিদিনের খাবারে নিচের ৭টি খাবার যুক্ত করতে পারেন—
ওজন বাড়াতে প্রতিদিন তিন থেকে চারটি ডিম খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভালো চর্বি ও ক্যালরি, যা শরীরে শক্তি জোগায় এবং সহজে ওজন বাড়ায়। তবে কাঁচা ডিম নয়—সবসময় সেদ্ধ ডিম খান। মাঝে মাঝে পরিবর্তনের জন্য ভাজা ডিমও খেতে পারেন।
ভাতের মাড় শক্তি ও ক্যালরিতে ভরপুর। ভাত ছেঁকে নেওয়ার পর মাড়ে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করলে শরীরে শক্তি বাড়ে এবং ধীরে ধীরে ওজনও বাড়ে।
শুকনো ফল ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর একটি। কাজুবাদাম, কিশমিশ, খেজুর, আমণ্ড—সবগুলোতেই রয়েছে প্রচুর ক্যালরি ও পুষ্টি। প্রতিদিন সকালে ১০-১২টি বাদাম বা কিশমিশ খেলে অল্প সময়েই পরিবর্তন অনুভব করবেন।
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত এই খাবারটি ওজন বাড়াতে দারুণ কার্যকর। প্রতিদিন পাউরুটি বা বিস্কুটের সঙ্গে খানিকটা পিনাট বাটার খেতে পারেন। শিশুদের ওজন বাড়াতেও এটি উপকারী।
সকালের নাশতায় কলা, আপেল, আঙুর, নাশপাতির মতো মিষ্টিজাতীয় ফল রাখুন। এসব ফলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ও ক্যালরি শরীরে শক্তি যোগায় এবং ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আলুতে আছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগার, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুই বেলা খাবারের সঙ্গে সেদ্ধ আলু রাখুন। চাইলে অলিভ অয়েলে হালকা ভাজা আলু স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন।
সবসময় ভারী খাবারের বদলে মাঝে মাঝে সবজি ও ডাল রাখুন। আলু, গাজর, শিমের মতো সবজি এবং বিভিন্ন ধরনের ডাল শরীরে পুষ্টি ও ক্যালরির ভারসাম্য আনে, যা ওজন বাড়াতে সহায়ক।
👉 নিয়মিত ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম ও হালকা ব্যায়ামও জরুরি। এতে ওজন বাড়ার পাশাপাশি শরীরও থাকবে সুস্থ ও সক্রিয়।