প্রকাশকালঃ ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, দুপুর ২:৫৭ সময়

চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার রেলপথ উন্নয়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ—বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ২৮০ কোটি টাকা—ঋণ দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা-চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলপথ প্রকল্পের আওতায় আড়াই কিলোমিটার বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হবে। এর ফলে চট্টগ্রাম স্টেশনে না থেমেই ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ চালু করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোর বরাবর নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ নিশ্চিত হবে, যা আঞ্চলিক পরিবহন সেবার গতি বাড়িয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। ‘চট্টগ্রাম-দোহাজারী মিটার গেজ রেলপথকে ডুয়েল গেজ রেলপথে রূপান্তর’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছে।
সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়। চুক্তিতে ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিওং স্বাক্ষর করেন। পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ এই ঋণ ২৫ বছরে পরিশোধ করা যাবে।
চুক্তি অনুষ্ঠানে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিওং বলেন, “এই প্রকল্প ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে রেল যোগাযোগকে আরও কার্যকর করবে। সড়ক পরিবহনের ওপর চাপ কমিয়ে রেল ব্যবহারে জোর দেবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে পর্যটন ও মৎস্য শিল্পে গতি বাড়বে।”
প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম-দোহাজারী অংশের ৫২ কিলোমিটার ট্র্যাক ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হবে। এছাড়া নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেল করিডোরের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল করিডোর সংযোগ স্থাপন করা হবে। এর ফলে রাজধানী ঢাকা ও পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন রেল সেবা চালু হবে। পাশাপাশি ট্রেনগুলোর গতিসীমা বৃদ্ধি, পুরোনো লোকোমোটিভ প্রতিস্থাপন, নতুন ৩০টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ এবং চাহিদা অনুযায়ী নতুন ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
এডিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ট্রান্স-এশিয়া রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোর বর্তমানে দেশের রেলপথে মোট যাত্রী পরিবহনের ৩২ শতাংশ এবং মোট পণ্য পরিবহনের ৫৫ শতাংশ বহন করছে।